দিনাজপুরের কাটারিভোগ চালের ইতিহাস , কাটারি ধান নামেও পরিচিত, এটি বাংলাদেশের দিনাজপুরে পাওয়া ধানের একটি অনন্য এবং উচ্চ মূল্যবান জাত। এই সুগন্ধি চাল সাধারণত বিশেষ অনুষ্ঠান এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা হয় এর ব্যতিক্রমী স্বাদ এবং গঠনের কারণে।
কাটারিভোগ ধান চাষের জন্য পরিবেশগত অবস্থার একটি নির্দিষ্ট সেট প্রয়োজন যা শুধুমাত্র দিনাজপুর অঞ্চলে পাওয়া যায়। কৃষকরা এই সুগন্ধি শস্য উৎপাদনের জন্য ঐতিহ্যগত পদ্ধতি ব্যবহার করে, যা মুঘল আমলে প্রথম বিকশিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। সময়ের সাথে সাথে এই বিরল জাতের চাল দিনাজপুরের স্থানীয় সংস্কৃতি ও খাবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
এই চাল দেখতে সরু ও লম্বা। এর অগ্রভাগ ছুরির মত একটু চোখা ও বাঁকা। এটি বাংলাদেশের সকল এলাকায় হয় না। এমনকি দিনাজপুরেও কেবল দিনাজপুর সদর উপজেলার ফাশিলাহাট, ছোট বাউল, বড় বাউল, করিমুল্যাপুর, খানপুর, চিরিরবন্দর উপজেলায় কাউগাঁ, বিষ্টপুর, তালপুকুর মুকুন্দপুর, দুর্গাডাঙ্গা, ভিয়াইল, পশ্চিম বাউল ও কাহারোল উপজেলার দু-একটি উঁচু জায়গায় এ বিশেষ জাতের ধান চাষ হয়। উঁচু বেলে-দোআঁশ মাটি কাটারিভোগ চাষের উপযোগী।
দিনাজপুরের কাটারিভোগ চালের ইতিহাস
কথিত আছে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব একবার দুর্নীতির অভিযোগে দিনাজপুরের রাজা প্রাণনাথকে নিজের দরবারে ডেকে পাঠান। প্রাণনাথ সম্রাটের জন্য বহুমূল্য রত্ন এবং কাটারিভোগ চাল উপঢৌকন নিয়ে যান। সম্রাট রত্নাদি উপহারের চেয়ে কাটারিভোগ চাল পেয়ে অধিক প্রসন্ন হন এবং খুশি হয়ে প্রাণনাথকে ‘মহারাজা’ উপাধি প্রদান করেন।
কাটারিভোগ চালের চিড়া প্রসিদ্ধ। এই চাল দিয়ে পোলাও, বিরিয়ানি, জর্দা, পায়েস, ফিরনি প্রভৃতি প্রস্তুত করা যায়। এই চাল সুগন্ধযুক্ত ও সুস্বাদু।
আরও পড়ুন:- দিনাজপুরের লিচু
For more update join “Dinajpur News- -দিনাজপুর খবর ” Facebook Group and follow “Dinajpur Today” Facebook Page. Thank You.